জিবলি ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

জিবলি ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো

কয়েক সপ্তাহ ধরে সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রল করলেই একটি ট্রেন্ডের দেখা মেলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম চ্যাটজিপিটি বা গ্রক ব্যবহার করে নেটিজেনরা নিজেদের ছবিকে মুহূর্তেই জাপানি শিল্পী হায়াও মিয়াজাকির স্টুডিও জিবলির অ্যানিমেশনের আদলে রূপান্তর করছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মুহূর্তেই সাধারণ একটি ছবি কার্টুনে পরিণত হচ্ছে। এই জিবলি আর্টে ভালোই মজেছেন নেটিজেনরা। কিন্তু আইটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিপদে পড়তে পারেন।

তাদের মতে, জিবলি আর্ট তৈরি করতে গিয়ে নেটিজেনরা নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতে তুলে দিচ্ছেন। এই জিবলি ইমেজের মেন সার্ভার রয়েছে আমেরিকায়। তবে এই বিপুল পরিমাণ ছবি বা তথ্য কোন সার্ভারে গিয়ে জমা হচ্ছে তা এখনো অজানা। ফলে অজান্তেই জিবলি আর্টের জন্য দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে অন্য কারো হাতে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর ফলে অনেক সাধারণ নেটিজেনের ছবি ডিপফেকে ব্যবহৃত হতে পারে। এমনকি ডার্ক ওয়েবেও বিক্রি হতে পারে ব্যক্তিগত ছবি। যে কোনো মুহূর্তে সাইবার অপরাধের শিকার হতে পারেন জিবলি আর্টে গা ভাসানো নেটিজেনরা।

পরিসংখ্যান বলছে, এই কার্টুন ইমেজ তৈরির জন্য সম্প্রতি ১০ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে এআই মাধ্যমে। মাত্র ৩০ ঘণ্টায় ১ কোটি ছবি আপলোড করা হয়েছে সার্ভারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *