স্যামসাং তাদের নতুন ট্রাই-ফোল্ড (তিনভাঁজ যুক্ত) স্মার্টফোন নিয়ে হুয়াওয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফাঁস হওয়া নতুন একটি তথ্যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ডিভাইসটির সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘গ্যালাক্সি জি ফোল্ড’। গ্যালাক্সি ফোন নির্মাতা স্যামসাং ভেতরের দিকে ভাঁজযোগ্য বিশেষ ডিজাইনের ট্রিপল-ফোল্ড ফোন তৈরি করছে। ফাঁস হওয়া নতুন তথ্য থেকে এটির স্পেসিফিকেশন, ডিজাইন ও উন্মোচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ব্লগ নাভেরে ইয়েক্স১১২২ নামের একজন তথ্য ফাঁসকারী দাবি করেছেন, স্যামসাং তাদের তিনভাঁজ যুক্ত ফোনটির নাম ‘গ্যালাক্সি জি ফোল্ড’ রাখতে পারে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, স্যামসাং তাদের জেড ফোল্ড সিরিজের নামকরণের ধারা অনুসরণ করেই নতুন ডিভাইসটির নামকরণ করতে পারে।
বড় ডিসপ্লে ও অনন্য ভাঁজ করার প্রযুক্তি
পূর্বের বিভিন্ন প্রতিবেদন ও গুজব অনুসারে, গ্যালাক্সি জি ফোল্ডে ৯.৯৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে থাকবে, যা গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড-৬-এর ৭.৬ ইঞ্চির স্ক্রিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বড়। ফোনটি সম্পূর্ণ খোলা অবস্থায় ৬.৫৪ ইঞ্চি মাপের হবে।
ভাঁজ অবস্থায়ও এটি ৬.৫৪ ইঞ্চি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইটিনিউজের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যামসাংয়ের তিনভাঁজ যুক্ত ফোনটি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হুয়াওয়ে মেট এক্সটির চেয়ে ভাঁজ করার প্রযুক্তির দিক থেকে ভিন্ন হবে। ফোনটি ভেতরের দিকে ভাঁজযোগ্য একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, যা এটিকে আরো কমপ্যাক্ট করে তুলবে ও স্ক্রিনের সুরক্ষা বাড়াবে।
২০২৬ সালের জানুয়ারিতে উন্মোচনের সম্ভাবনা
তথ্য ফাঁসকারী ইয়েক্স১১২২ জানিয়েছেন, স্যামসাং আগামী বছরের জানুয়ারিতে গ্যালাক্সি জি ফোল্ড উন্মোচনের পরিকল্পনা করছে।
তবে ডিভাইসটির উৎপাদন সীমিত পরিসরে হবে। জটিল উৎপাদনপ্রক্রিয়া ও উচ্চ উৎপাদন খরচের কারণে কম্পানিটি মাত্র তিন লাখ বা তার চেয়েও কমসংখ্যক ডিভাইস বাজারে আনতে পারে।
ফোনের মাপ ও ওজন
স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফোল্ডের ওজন হুয়াওয়ে মেট এক্সটি আলটিমেটের সমান হতে পারে। এ ছাড়া ডিভাইসটিতে নতুনভাবে তৈরি ডিসপ্লে ও প্রতিরক্ষামূলক ফিল্ম ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, যা ফোনকে আরো টেকসই করে তুলবে।
প্রিমিয়াম ফোন, উচ্চমূল্যের প্রত্যাশা
এদিকে স্যামসাংয়ের এই তিনভাঁজ যুক্ত স্মার্টফোনটি অত্যাধুনিক ভাঁজ করার প্রযুক্তি ও বড় স্ক্রিনের কারণে উচ্চমূল্যের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কম্পানিটি এই ট্রাই-ফোল্ড ক্যাটাগরিতে প্রবেশের মাধ্যমে বাজারে নতুন প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করতে পারে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ