সমাজমাধ্যম প্রভাবী জ্যোতি মলহোত্রার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচরদের যোগাযোগ কতটা নিবিড় হয়ে উঠেছিল, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, পাক গুপ্তচরেরা জ্যোতিকে নিজেদের ‘অ্যাসেট’ হিসাবে তৈরি করতে চাইছিলেন। তবে শুধু জ্যোতিই নন, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থাকে সাহায্যের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তেরা বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত। যেমন জ্যোতি সমাজমাধ্যম প্রভাবী। কেউ রয়েছেন ব্যবসায়ী, আবার কেউ বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী। তাঁদের থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য মূলত দু’টি বিষয়কে টোপ হিসাবে ব্যবহার করত পাকিস্তানি গুপ্তচরেরা— খ্যাতি এবং টাকা।
অভিযুক্তদের মধ্যে বেশির ভাগই অল্পবয়সি। হরিয়ানার জ্যোতি ৩৩ বছর বয়সি সমাজমাধ্যম প্রভাবী। ভ্রমণ সংক্রান্ত ভিডিয়ো নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতেন তিনি। জ্যোতির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রসঙ্গে রবিবার হরিয়ানার হিসার জেলার পুলিশ সুপার শশাঙ্ককুমার সাওয়ান জানিয়েছেন, ‘আধুনিক যুদ্ধ’ সবসময় সীমান্তে লড়া হয় না। সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের ব্যবহার করে নিজেদের একপেশে গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পাকিস্তানি গুপ্তচরেরা সম্প্রতি নিজেদের কাজের জন্য সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের ব্যবহার করার চেষ্টা শুরু করেছে। ‘শেয়ার’, ‘ভিউ’ এবং ‘লাইক’ পাওয়ার প্রলোভনে এই ফাঁদে পড়ে যান সমাজমাধ্যম প্রভাবীরা। এ ক্ষেত্রেও তেমনই চেষ্টা চলছিল এবং ভারতের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি হরিয়ানার কৈথল থেকে গ্রেফতার হন ২৫ বছর বয়সি দেবেন্দ্র সিংহ ঢিল্লোঁ। দেবেন্দ্র পঞ্জাবের পটিয়ালার এক কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করছিলেন। অন্য একটি মামলায় তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তবে তদন্তে উঠে এসেছে গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। অভিযুক্ত জেরায় স্বীকার করেছেন যে তিনি পটিয়ালার সেনাছাউনির বাইরে থেকে তোলা কিছু ছবি পাক গুপ্তচর সংস্থার আধিকারিকদের দিয়েছিলেন।