পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে ভারতের হামলা যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে মনে করে তুরস্ক।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, তারা (তুরস্ক) পাকিস্তান ও ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তারা এর ওপর নজর রাখছেন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বেসামরিক ব্যক্তি ও স্থাপনার ওপর যেকোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ ও হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা আশা করি উত্তেজনা কমাতে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পহেলগাঁওয়ে ঘটনার তদন্তের জন্য পাকিস্তান যে দাবি জানিয়েছে তুরস্ক সেটি সমর্থন করে।
এদিকে বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে টেলিফোন করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব হামলায় বেসামরিক নাগরিক ও বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে।
তুরস্ক সতর্ক করে বলেছে, এ ‘উসকানিমূলক পদক্ষেপ সর্বাত্মক যুদ্ধের’ দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।
যদিও পাকিস্তানের দাবি, ভারতের হামলায় ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মীরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
হামলা-পাল্টা হামলা নিয়ে উভয় দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।