শুল্কযুদ্ধে কতটা বাড়তে পারে আইফোনের দাম?

শুল্কযুদ্ধে কতটা বাড়তে পারে আইফোনের দাম?

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় গ্যাজেট—যেমন ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ—এসবের দাম অনেক বেড়ে যেতে পারে। কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১২৫% শুল্ক বসিয়েছেন। এতে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে আইফোন ও এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্কের প্রভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম কয়েক শ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

আইফোন কোথায় তৈরি হয়?
কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের তথ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য তৈরি হওয়া আইফোনের ৮০% তৈরি হয় চীনে, বাকি ২০% ভারতে। চীননির্ভরতা কমাতে অ্যাপল ইতিমধ্যে তাদের উৎপাদন ভারতে ও ভিয়েতনামে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি অ্যাপল ৬০০ টনের বেশি আইফোন ভারতে তৈরি করে বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে এখনই শুল্ক বসেনি, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটি অ্যাপলের জন্য লাভজনক বিকল্প হয়ে উঠছে।

অ্যাপল কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে?
ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এই শুল্ক নীতির লক্ষ্য হলো—দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। কিন্তু প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে যেহেতু অনেক যন্ত্রাংশ ও প্রসেস বিদেশে হয়, তাই সব কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এনে তৈরি করা সহজ নয়। অ্যাপল জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তবে বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলছেন, উৎপাদনের ১০% চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে আনতে আরো তিন বছর ও ৩০ বিলিয়ন ডলার লাগবে, তা-ও বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়ে।

আইফোনের দাম কি সত্যিই বাড়বে?
এখনো অ্যাপল নিশ্চিতভাবে বলেনি যে শুল্কের বাড়তি খরচ গ্রাহকদের ওপর পড়বে কি না। যদি শুল্কের পুরো খরচ গ্রাহকের ওপর পড়ে, তাহলে চীনে তৈরি ২৫৬ জিবি আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম এক লাখ ৪৫ হাজার থেকে বেড়ে দুই লাখ ৪৩ হাজার টাকা হতে পারে। এ ছাড়া ভারতে তৈরি ১২৮ জিবি আইফোন ১৬ প্রো-এর দাম বাড়তে পারে মাত্র ৫%, এক লাখ ২১ হাজার থেকে এক লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন তৈরি হলে তার দাম গিয়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় চার লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *